বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১১

(এই গল্পটা হিমুর ছায়া অবলম্বনে লিখবো বলে ভেবেছিলাম, কিন্তু লিখার পর দেখলাম কোনোভাবেই হিমু ছাড়া এটা কম্পলিট করা সম্ভব না। তাই হিমুর নামেই লিখলাম। জনাব হুমায়ুন আহমেদ স্যার, আমি আপনার অনেক বেশী বড় ভক্ত, আমি হিমুকে বিকৃত করার জন্য নয়, বরং ভালোবেসে লিখেছি। দয়া করে এই গল্প না পড়লেও, কেউ বললে বা স্বপ্নে দেখলেও ক্ষমা করে দিবেন।)


১)


ওয়াক থু !!!

বেইলীরোডের এই ডাস্টবিনটা সৃষ্টির আদি থেকে দেখতে দেখতে বড় হয়েও এর সাথে অভ্যস্ত হতে পারে্নি হিমু। হেল্ভেশিয়ার নীচে আজও তাই তার পেটে পাক দিয়ে উঠে পঁচা কাঠাল আর ডাল মাখানো পচা ভাতের গন্ধে । হিমু’র বাবা মৃত বলে হিমু কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেল।জাগতিক সকল কিছুর প্রতি আসক্তি দুরীকরনের জন্য হিমুকে বিশেষভাবে ট্রেনিং যেমন দেয়া হয়েছে, ঠিক তেমনি সকল ঘৃন্য বস্তুর প্রতিও কৃত্রিম তবে আবেগময় ভালোবাসা ফুটিয়ে তোলার জন্য ট্রেনিং দেয়াতেন। হিমু নিশ্চিত, আজকে বাবা থাকলে তাকে এই ময়লা ও মাছি যুক্ত পঁচা কাঠাল ভাতের নলার মতো করে খেতে হতো।

পিছন থেকে কোন বলদ (বলদিনীও হতে পারে) যেনো হঠাৎ করে দু’ চোখে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলো – “বলতো কে?” চোখে হাত দিলে কিভাবে বলবো তুই কে ! বলদ নাকি !!

- “আপনি হিমুর খালা, মাজেদা খালা“ । বলে হিমু ফিরে তাকালো।
- ও মা! এই ছেরা, তুই কে?
- আমি হিমু।
- ফাইজলামী করিস? এক চটকানা দিয়ে তোর কলিজা খুলে ফেলবো! হিমু কই?
- আমিই হিমু!
- তাইলে আমি কে?
- আপনি হিমুর খালা!
- আমার ভাইগ্না কই?
- খালা! আপনি ভুল করেছেন। হুমায়ুন আহমেদ স্যারের সব হিমু তো এক না! একেক বইয়ে একেক হিমুকে নিয়ে লিখে। এটা বুঝেন না কেনো? এই বার আমাকে নিয়ে লিখেছেন।
- আমার ভাইগনাকে খুজে বের কর, নাইলে হিমুর খালুকে ডেকে তোকে হাজতে ভরবো। তুই আমার সাথে রসিকতা করিস? কোথাকার কোন হনুমান আহমেদ না কি, সে আবার কারে নিয়া কি বালের গল্প লিখে। আমারে শুনাস সেই কথা!
অবস্থা বেশী খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে দেখে হিমু বললো – “খালা, আমি টেলিপ্যাথিক উপায়ে “হলুদ হিমু কালো র্যাব” উপন্যাসের হিমু ভাইকে আপনার কথা বলেছি। উনি আজ সন্ধ্যায় আপনার সাথে টিএসসিতে দেখা করবেন বলেছেন।

- এত্তো কিছু বুঝিনা। তুই আগে পাঞ্জাবী খোল। এটার আমার ভাইগনার ট্রেডমার্ক করা পাঞ্জাবী।

হিমু খুলি বলেই দিলো দৌড়। এক দৌড়ে ভিকারুন্নিসার সামনে !

“এই দেখ দেখ! ওই যে হিমু !!”
“ওয়াও!! হাউ হ্যান্ডসাম !!! পুররা রানবীর কাপুরের মতো চক্লেট বয় !”
হিমু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিলো, পিছন থেকে হঠাৎ কে যেনো কদম্বুসি করা শুরু করে দিলো।
- হিমু ভাই, পা টা তুলেন, কাদা লাগছে, পইষ্কার কইরা দেই।
- হোই মিয়া! আমার পা ধরছো, সাহস তো কম না! জানো, আমি কে? আমার খালুরে চেনো?
- হিমু ভাই, আমি মইত্যা!! মইত্যা ভিডিউ!! চিনছেন?
- ও, কেমন আছো মইত্যা? তোমার ভিডিউ এর ব্যাবসা কেমন চলে?
- ওইডি বাদ দিয়া দিছি, আমি এই দিক দিয়া কলেজের মাইয়াগো ভিডিউ ক্লিপ বাইর করি, ওই দিক দিয়া আমার বৌ এর ৪টা সিডি বাইর হয়া গেসে ।
- বাহ! তো ডিভিডি নাকি ভিসিডি? ব্লু প্রিন্ট থাকলে দিও তো !
- হিমু ভাই, আপনেও? আমি এইসব ছাইড়া দিসি। এখন হিন্দী সিরিয়ালের ব্যাবসা করি। মাইয়ারা এইডা ভালা খায় !
- তাই নাকি? কোন দিক দিয়া খায় ?
বলেই হিমু বুঝলো কথাটা অশ্লীল হয়ে গিয়েছে। তাও আবার , মেয়েদের কলেজের সামনে দাড়ানোই এখন টাফ ব্যাপার, পুলিশ থাকে অলটাইম। টু-পাই এক্সট্রা কামাই করনের জন্য লুঙ্গী-জাঙ্গীয়া কাছা বেধে এখন এরা ইভ-টিজিঙ্গের বিরুদ্ধে নেমেছে।


২)
মইত্যা হিমুকে নিয়ে কেএফসিতে ঢুকলো। সে কী দৃশ্য রে বাবা! হাটু প্রদর্শঙ্কারী লাল ফর্সা
মেয়েগুলা কি সুন্দর করে যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে চিকেন খাচ্ছে, এ এক অভূতপুর্ব দৃশ্য! মলয় চৌধুরী এই দৃশ্য দেখলে কি লিখতেন ভেবেই হিমু আতিপাতি করে টয়লেট খুজতে লাগলো !

“এই হিমু !“
- কেমন আছো তিতির?
- ভালো। তুমি, তাও এইখানে? হুমায়ুন আহমেদ কি হিমু লিখার ফরম্যাট ভুলে গেছে নাকি!! তুমি থাকবে রাস্তায় রাস্তায়, ফকিরদের সাথে কাঙ্গালী-ভোজ খাবে। এইখানে তুমি, অবিশ্বাস্য!
- আসলেই! এইটা হইলো বড়লোকের পোলাপানদের লদ-লদকি করার যায়গা। হাড্ডি দিয়ে তো মনে হয় ডিলডো বানানো হয় এইখানে, তাইনা? তো তুমি কার সাথে লদকাইতে আসছো?
- তোমার মুখ পুরাই নাপাক হিমু।
- তোমাদের শরীরটাই নাপাক তিতির।
মইত্যা এতোক্ষন তিতিরকে দেখছিলো। তার খুব কষ্ট লাগলো, কেনো তিতিরকে নেয়ার আগে সে ভিডীউর ব্যাবসা বন্ধ করে দিলো! ইশ, “তিতির এর ঝাল মশল্লা” ভিডিওটা বের হইলে আজকে মইত্যার নাম পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির টপ ডিরেক্টরদের সাথে থাকতো!

- হিমু ভাই।
- কি?
- তিতির আপা কি, মানে ইয়ে আর কি, মানে ……
- ইউটিউবে সার্চ দে, পাবি।
দাঁত সব বের হয়ে গেলো মইত্যার !


৩)

মাজেদা খালা ৫টায় টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের নিচে বসে ভাবতে থাকেন নতুন হিমুকে নিয়ে। এই যে এইভাবে হিমু বাড়তেই আছে, এক হিমুর যন্ত্রনাতেই তার জীবন যায় যায় প্রায়, এত্তো হিমু যে প্রোডাকশন হইতেসে, এগুলার কি হবে? প্রাইমারী অবস্থায় তো এক্সপোর্টও করা যাবেনা !
- খালা, ২০টাকা দাওতো!
- তুই? তুই এইখানে কি করিস?
- বলতেসি, আগে ২০ টাকা দাও।
- ক্যান? বেন্সন খাবি?
- হুম।
২০টাকা দিয়ে সে ১টা চিমটা কিনল। খালা কয়েক হাজার বার চিমটার কথা জিজ্ঞেস করেও কিছু বুঝলোনা, শুধু বুঝলো চিমটা দিয়ে বিচি টাইপের কিছু ১টা বের করবে।

- হিমু, ওই ছেরাটা কে?
- ওই ছেরাটা হিমু।
- তুই হিমু, ওইটাও হিমু?
- জ্বি ।
- মানে কি?
- তুমি কি হিন্দু নাকি খৃষ্টান ?
- কি বলিস! আমি ঈমান-আকীদা মান্য করা মুসলমান! আমার নাম মোসাম্মত মাজেদা খানম। বিয়ের পর মাজেদা জোয়ার্দার হয়েছে।
- তুমিও মুসলমান ওই চিতই পিঠা বানাইতেসে যে মহিলাটা, সেও মুসলমান। বুঝাতে পেরেছি?
- হুম্ম। বাসায় চল।
- কেনো? বাদল এর বৌ রাগ করেছে?
- বাদল বিয়ে করেছে এই খবর তোকে কে দিলো?
- কেউ দেয় নাই। রাগ করেছে কেন?
- এত্তো কিছু জানিস যখন এইটাও নিশ্চই জানিস !
- জানি তো। কিন্তু ওইটা তো বাদল রাত এ অন্যদিক হয়ে ঘুমায় বলে রাগ হয়েছে। তোমার কাছে কি বলেছে, রাগ করেছে কেনো?
- এ মা! বাদল বৌ কে রেখে অন্য দিক হয়ে ঘুমায়?
- শুধু তাই? ওর বৌ এক সপ্তাহ ধরে কন** কিনতে বলে তাও কিনেনা। একটা মেয়ে কতোটা বাধ্য হইলে মুখ খুলে এই কথা বলতে পারে?
- (প্রচন্ড মন খারাপ করে) হিমু, তুই চলে যা। বাসায় যাওয়া লাগবেনা। আর আমার সাথে তোর এই সব কথা হয়েছে বাদল যেনো না জানে।
- আচ্ছা। খালা, দোয়া করো আমার জন্য , ১টা অপারেশন এ নেমেছি। অপারেশন টর্চলাইট! সাক্সেস্ফুল হতেই হবে।
খালা তার প্রাডো দিয়ে চলে গেলো।

৪)

কেএফসি তে খাওয়া শেষ করেও মইত্যা হিমুকে ছাড়লোনা। সে নাকি হিমুকে ছেড়ে আজ কোত্থাও যাবেনা। আজ সারাদিন হিমুকে খাওয়াবে, রাইতে মাথায় হাত বুলায় দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তারপর সে যাবে। হিমু সাধারনত ভয় পায়না, তবে রাতের প্ল্যান শুনে সে কিঞ্চিৎ ভয় পেলো!


৫)


আজ ৩ দিন যাবত হিমু ঘুমাতে পারছেনা। ঘুমালেই স্বপ্নে সে হিমুকে দেখে। তার মতোই তবে দাড়ি-ওয়ালা। সে খালি বলে – “ হিমু, আমাকে চিনেছো? আমি হিমু !আমাকে সাহায্য করো, আমার শক্তি বড় কম। হিমু, বিচি লাগবে, বিচি”

হিমু ঝটকা মেরে ঘুম থেকে উঠে , তার সারা শরীর ঘামে ভিজে আছে। ঘড়ি দেখে, সকাল ১২টা। এখনো মেসের বুয়া আসেনাই। বুয়া বললেও আসলে ১৩-১৪ বছরের ১টা মেয়ে। ঝাড়ু দেয় , কাপড় ধোয় আর ঘর গুছায়। আগের হিমুরা নাকি এইসব করতোনা, কিন্তু সে যে ফ্যামিলী থেকে এসেছে , তার বাবা একজন আর্মী। ছোট্টোবেলা থেকেই সেই পর্যায়ের টাইটে রেখেছেন। তাই অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে কিছুটা।

হিমু হোটেলে যাবে কিনা ভেবে গেলোনা। হোটেলে গেলেই তাকে খাশির ১টা আস্ত রান ধরায় দিবে খেতে। সে কোনো ভাবেই বুঝাতে পারবেনা যে খাশীরও এন্থ্রাক্স হয়। সে হাঁটা ধরলো, গিয়ে দেখি আজ তিতিরকে পাওয়া যায় কিনা, কেএফসি’র চিকেন খেতে ইচ্ছে করছে।

৬)

- হ্যালো
- হিমু ভাই, তুমি এইডা কি করলা? আম্মাকে কি বলসো তুমি এইসব?
- ঠিকই তো বলসি ! এখন খালা তোকে জোর করে হানিমুনে পাঠায় দিবে! আরে, পালিয়ে বিয়ে করেছিস, বউ এর সাথে একটু ইয়ে যদি না করিস তাইলে বিয়ে করলি কেনো?
- তবুও। তুমি জানোনা, আমি তোমাকে কত্তো ভালোবাসি? তুমি না বলেছ “ মহামানুষেরা কখোনো সঙ্গমে লিপ্ত হয়না”
- হ্যা। কিন্তু তুই মহামানুষ না। তো তুই সঙ্গম, পঙ্গম, বঙ্গম আরো যা যা আছে, সব কিসুতে লিপ্ত হ। রাখি।

হিমু পল্টন থানার ওসির সামনে বসে আছে। সব সময়ের মতো এইবারো তার মুখ হাসি হাসি।

- তো হিমু সাহেব, আবার কোন ঝামেলা করে আসলেন?
- কোনো ঝামেলা করিনি, তবে ঝামেলা মিটানোর খায়েশ জেগেছে।
- কাহিনী কি?
- বড়লোকের পোলাপানদের ১টা গোষ্ঠি যে রেপ করে তা পর্নের নামে ছড়িয়ে দিচ্ছে, খবর রাখেন?
- হুম, তো কি করতে পারি?
- কিছুইনা। চা খাওয়াতে পারেন।

চা’র সাথে কুকি বিস্কিট খেয়ে হিমু এসে পড়লো। দাঁতভাঙ্গা মেহেদী ওরফে মেন্দীকে ফোন দিলো।

- হ্যালো
- হিমু ভাই! শুধু কন, কার কল্লা?
- জানিনা।
- ভাই, উদাস কেন? কি হইসে? হুদা কন, মেন্দীর মতোন লাল বন্যা ভাসায় দিমু ঢাকা শহরে!
- তুমি আপাতত ৩০০ চিমটা রেডি কর।
- কইরা ফালাইসি আর কিছু ভাই?
- না, রাখি মেন্দী। পরে ফোন দিবো।




৭)


- বুঝসেন হিমু ভাই, মাইয়া মানুষ হইলো আমের লাহান। যতো টিপবেন, ততোই নরম হইবো। খাইবার ও আরাম পাইবেন। আবার ধরেন, উপরে দিয়া কি টসটইসা, খাওনের পর ছেবরা !
- হুম। মইত্যা, রেপ ভিডিও কারা বের করে জান?
- হায় হায়, কন কি ? আবুল ভাই! ওই যে, মহিলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
- বাহ! একদম হাতের কাছেই কাচামাল ! ব্যাবসা তো ভালো হবেই!
- ক্যান ভাই? কি হইসে? আপনার মাল লাগবো?
- না। তবে আমাকে একটু নিয়ে যাওয়া লাগবে ঐখানে।



৮)


ঘুমের মধ্যেই যেনো হিমু মরে যাবে। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। মাথা ফেটে যেনো রক্ত বের হয়ে মেন্দীর মতো ঢাকা ভেসে যাবে। খুব খারাপ স্বপ্ন দেখছে হিমু। দেখছে রুপা বিবস্ত্র হয়ে কাঁদছে। তার মুখে অজস্র শিয়াল-কুকুরের আচরের দাগ। সারা দেহ রক্তাক্ত, জায়গায় জায়গায় কেটে গেছে। কাছে গিয়ে হাত ধরলো হিমু। রুপার শরীর অসম্ভব ঠান্ডা ! রুপা বেঁচে নেই !

হিমু কোনোদিন যা করেনি, আজ তা করবে। বাবা’র আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে এতোদিন, কিন্তু মহাপুরুষ হবার বাসনায় হিমু মনুষ্যত্ব হারাতে চায়না। ক্রোধ, প্রচন্ড ক্রোধ তার উপর গেড়ে বসেছে।

- মেন্দী?
- হিমু ভাই, কন কার কল্লা?
- গুলশান যাবো।
- ধরেন আমি আপনার বাসার তলে আইসা পরসি ভাই।


গাড় অন্ধকারে হিমু হাটতে থাকে। অশরীরি কোনোকিছু যেনো তার উপর ভর করে আছে। তুমুল বৃষ্টির কিছুই তার চিন্তায় নেই। তার অতি-প্রাকৃতিক ক্ষমতা কখনো সে ব্যবহার করেনি। আজ সে করবে। হতে পারে সে মহামানব হতে পারবেনা। তবে, মানুষ হয়ে মৃত্যু দেখায় আনন্দ আছে।


৯)

ধীরে ধীরে চোখ খুলে হিমু। দেখে মইত্যা তার চোখে-মুখে পানি ছিটাচ্ছে।

- হিমু ভাই, কি ডরটা দেখাইলেন! এমন কইরা মাইনষে অজ্ঞান হয় ! অন্তত কইয়া তো লইবেন যে অজ্ঞান হইতাসি!
- মইত্যা, সময় নাই। গুলশান চলো, আবুলের বাড়িতে।
- কি কইতাসেন? আবুল ভাই রে চিনেন না হিমু ভাই। হেয় মন্ত্রী-মিনিষ্টার মানেনা। খুন কইরা এন্থ্রাক্সের গরুর মাংশ কইয়া নদীতে ভাসায় দিবো।
- যা বলসি করো।


১০)

আবুলের ফ্লাটে প্রায় ৩০০ হিমু দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সবার হাতে চিমটা। সামনে উলঙ্গ আবুল আর তার উলঙ্গ রেপিস্ট পার্টি।ক্যামেরা ম্যান ও উলঙ্গ, এইটা কেন হইলো পরে জানতে হবে।

- আপনারা যেই হন, আমি আবুল এইটা তো জানেন। সাহস দেখে অবাক হই, আমার বাড়িতে এসে আমাকে থ্রেট দাও যে বিচি কেটে ফেলবে! হাস্যকর! আর মইত্যা, তোমার ভালো দিন শেষ, বুঝে নিও।
- আবুল তুমি কোন ব্রান্ডের ভায়াগ্রা নাও? তোমার স্টামিনা তো দারূণ, এক সাথে ৩ জনকে রেপ করছো। মেশিন ও দেখি আকাশ ছোবার অপেক্ষায় !
- তা ভালোই। তোর মা-বোনকে দিয়ে যা। দেখ ওরা কি বলে !

কালো কালো র্যাবের মতো প্রায় শ’খানেক লোক মেশিনগান হাতে হিমুদের দিকে এইম করে দাঁড়িয়ে আছে।


১১)

রাজধানীতে পর্ণ ব্যাবসায়ী খুন

রাজধানীর গুলশান এলাকায় গতকাল রাতে রহস্যজনক হত্যাকান্ড ঘটে। এলাকার লোকজনের মতে মধ্যরাতে ওই বাড়ির জানালা দিয়ে অচেনা এক ধরনের মৃদূ আলোক রশ্মি বের হতে থাকে। সকালে বাড়ির কেয়ারটেকার দরজা খুলে দেখতে পান, ব্যাবসার প্রধান ব্যাক্তিত্ব আবুল কাশেম সহ আরো শ’খানেক পুরুষ সকলেই উলঙ্গ ও তাদের জননথলী থেকে বিকৃত অবস্থায় রক্তপাত ঘটছে। পুলিশ সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভিডিও সিডি ও বেশ কিছু কর্মজ়ীবি নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে তাদের এ রহস্যজনক মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।

দৈনিক হায় হায় দিন , নিজস্ব স্টাফ রিপোর্টার।


১২)

মাজেদা খালা হিমুকে ফোন করেই যাচ্ছে, কিন্তু ফোন কেউ ধরছেনা। রুপার ছেলে হয়েছে এই খবরটা না দেয়া পর্যন্ত তার গ্যাস্ট্রিকের ফাপানি কমবেনা ।

মইত্যাও হিমুকে খুব মিস করে।